You are currently viewing ব্লগিং কী? কেন ব্লগিং করবো? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং কী? কেন ব্লগিং করবো? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

ব্লগিং কী? কেন ব্লগিং করবো? ব্লগিং করে কতটাকা আয় করা যায়?

 

ব্লগিং কী?

ব্লগিং হলো ইন্টারনেটে লেখা, প্রকাশ এবং যারা ব্লগ মেইনটেইন করেন তাদের যাত্রা, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং প্রতিভা সাঝা করার একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম। এটি একটি একক ওয়েবসাইটে অথবা ওয়েবসাইটের একাধিক পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হতে পারে। ব্লগিং সাধারণভাবে একজন ব্লগার বা একাধিক ব্লগার দ্বারা করা হয়, যারা ব্যক্তিগত বা পেশাদার বিষয়ে লেখা, বিচার বিনিময় এবং বাণীতে প্রকাশ করে।

ব্লগিং শুরু করার জন্য একটি ব্লগ সাইট তৈরি করা হয় যেখানে ব্যক্তি তাঁর লেখা, ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য বিষয়ে মতামত প্রকাশ করতে পারেন। এই লেখা বা প্রকাশনা গুলি অনুসরণকারীদের কাছে প্রদর্শিত হয় এবং অনুমোদনকৃত কমেন্ট এবং বিচারাধীন প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে পাঠকের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।

ব্লগ প্রকাশনা সাধারণভাবে একটি কীওয়ার্ড নিয়ে সংক্রান্ত হয়, যা লেখার বিষয় এবং সেই বিষয়ের সম্পর্কে মানুষের কাছে সাধারণভাবে সন্দেহভাজন। এটি ব্যক্তিগত বা পেশাদার বিষয়ে কোনও কিছু লেখার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রয়োজনীয় তবে প্রকাশিত বিষয়ে সম্পর্কিত মতামত প্রদান করার সাথে সাথে আরও বৃদ্ধির একটি অমূল্য সাধনা প্রদান করে।

ব্লগ প্রকাশ করার অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেমন WordPress, Blogger, Tumblr ইত্যাদি, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সহজেই তাঁর ব্লগ সাইট সৃষ্টি করতে পারে।

ব্লগিং একটি প্রশাসনিক পরিচালিত ওয়েবসাইট বা পাত্রিকা থাকতে পারে, কিন্তু সাধারণভাবে এটি একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট হয় যার প্রধান লক্ষ্য হলো লেখা এবং অন্য মানুষের সাথে যোগাযোগ করা। ব্লগিং একটি দক্ষিণপূর্বাসী সামাজিক যাত্রা হতে উদ্ভব হয়েছে, যা লোকেরা তাঁদের মতামত, ধারণা, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে সক্ষম করে।

ব্লগিং একটি প্রায় সমস্ত বিষয়ে লেখা যায়, যা প্রয়োজনীয়ভাবে পাঠকের সাথে সম্পর্কিত থাকে। এটি কোনও নির্দিষ্ট কিছু নয়, তাই ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে পেশাদার নিউজ সাইট পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত বা পেশাদার ব্লগ রয়েছে।

 

কেন ব্লগিং করবো?

ব্লগিং করার এই কারণগুলি ব্যক্তির প্রকৃতি, আগ্রহ এবং লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে। কাউকে ব্লগিং করার জন্য নির্ধারিত কারণ থাকতে পারে নিজের উদ্দেশ্যে এবং প্রকৃতিতে ভিন্নতা থাকতে পারে। তাই এই কারণগুলি প্রায় ব্যক্তির ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে বেশ কিছু বিভিন্ন হতে পারে। একজন ব্লগার হিসাবে ব্লগিং করার কিছু সাধারণ কারণগুলি নিম্নে দেওয়া হলো:

১. ক্রিয়েটিভিটি: ব্লগিং একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া যা ক্রিয়েটিভিটি এবং বিচার বিনিময়ে মেধা উন্নত করে। ব্লগাররা তাঁরা পছন্দের বিষয়ে লেখার মাধ্যমে নতুন ধারণা, কথা এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বিচার করতে পারে। এটি তাঁদের আগ্রহের বিভিন্ন রূপ দেখার একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।

২. জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত বিকাশ: ব্লগিং ব্যক্তিদের একটি জনপ্রিয় উপায় হলো তাঁদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীল উপায়ে অন্যদের সাথে স্থানান্তরিত করা। এটি অন্যদের শিখতে এবং একটি বিষয়ে নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে সাহায্য করতে পারে।

৩. নেটওয়ার্কিং এবং সাম্প্রতিক পরিচয়: ব্লগিং ব্যক্তিদের একটি অপরিহার্য উপায় হলো নেটওয়ার্কিং করার। এটি অন্যদের সাথে যোগাযোগ এবং পরিচয় করার সুযোগ প্রদান করতে সাহায্য করে, যা আপনার ব্যক্তিগত বা পেশাদার ক্যারিয়ারের উন্নতির জন্য মাধ্যম হতে পারে।

৪. পার্থক্য তৈরি করা: ব্লগিং একটি প্রাকৃতিক উপায় যাতে আপনি নিজেকে বিভিন্ন বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয় করে আপনার মতামত প্রকাশ করতে পারেন। এটি আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি করার সুযোগ প্রদান করে এবং আপনি যে কোনও বিষয়ে নিজেকে ব্যক্ত করার মাধ্যম হয়ে থাকেন।

৫. আয়ের সুযোগ: কিছু ব্লগার তাঁদের ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন, যেমন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে, স্পন্সর পোস্ট লেখে বা সংশ্লিষ্ট প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দেয়। এটি প্রয়োজনে একটি ব্যক্তিগত অনলাইন উদ্যোগ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই কারণগুলি সম্প্রসারিত হয়ে ব্লগিং করার জন্য মোটিভেশন প্রদান করতে পারে এবং এটি প্রায় প্রত্যেকের জন্য সমান নয়। যদি আপনি লেখা পছন্দ করেন, নতুন ধারণা শেয়ার করতে ভালোবাসেন, অন্যদের সাথে যোগাযোগ করার ইচ্ছুক হন এবং আপনার জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সাম্প্রদায়িক ভাবে অন্যদের সাথে ভাগ করতে চান, তবে ব্লগিং আপনার জন্য অনেক উপকারী এবং উত্সাহজনক হতে পারে।

 

কী লাভ ব্লগিং করে?

ব্লগিং করার মাধ্যমে একজন ব্লগার প্রায় নিম্নলিখিত কিছু উপকার উপভোগ করতে পারে:

১. নিজেকে বিভিন্ন বিষয়ে বৃদ্ধি: ব্লগিং একজন ব্লগারের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অনুশীলন করতে অনুমতি দেয়। লেখা প্রক্রিয়াটি তাঁদের ধারণা এবং বিচার ভাগাভাগি করার সুযোগ প্রদান করে এবং নতুন জ্ঞানের বৃদ্ধি হয়ে থাকে।

২. অন্যের সাথে সংযোগ এবং নেটওয়ার্কিং: ব্লগিং একটি ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে অন্যের সাথে সংযোগ এবং নেটওয়ার্কিং করার সুযোগ প্রদান করে। ব্লগিং একজন ব্লগারকে প্রত্যেক দিন বিভিন্ন লোকের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ দেয়, যা তাঁর নেটওয়ার্ক এবং ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

৩. অনুমোদিত অভিক্তি এবং প্রশাসন: সাধারণভাবে, ব্লগাররা তাঁদের ব্লগে প্রকাশিত প্রতিটি পোস্টের মধ্যে অনুমোদিত মতামত এবং প্রতিক্রিয়া পেতে পারেন। এটি তাঁদের প্রকাশিত লেখা বা পোস্টের জন্য প্রশাসনিক স্বাধীনতা এবং নিজের স্টাইলে ব্লগিং করার সুযোগ প্রদান করে।

৪. আয়ের সুযোগ: ব্লগিং থেকে আপনি আয় উপার্জন করতে পারেন। বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে, স্পন্সরড পোস্ট লেখে, এবং সংশ্লিষ্ট প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দেয়। যদি আপনি একটি প্রযুক্তি ব্লগ বা ব্যবসায়িক ব্লগ রাখেন, তবে এটি আপনার অনলাইন ব্যবসার এবং আয় সমৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

৫. পার্থক্য তৈরি করা: ব্লগিং একজন ব্লগারের মধ্যে বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য সম্পর্কে পার্থক্য তৈরি করার সুযোগ প্রদান করে। এটি ব্যক্তির নিজের ধারণা, মতামত, দক্ষতা, এবং অভিজ্ঞতা প্রকাশ করার মাধ্যম হতে পারে, যা অন্যদের সাথে ভাগ করা যায়।

ব্লগিং সাধারণভাবে একটি সাহায্যকারী, উত্সাহজনক, এবং আপনার ক্যারিয়ার এবং সামাজিক জীবনে অন্যদের সাথে সংযোগ করার উপকারিতা দেয়। ব্লগিং করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত এবং পেশাদার লাভ উপভোগ করা সম্ভব।

 

ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?

ব্লগিং থেকে মাসিক আয়ের পরিমাণ বিভিন্ন কারণে প্রভাবিত হয়। এটি ব্লগারের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে, ব্লগের সামগ্রিক প্রকার, ট্রাফিকের উপস্থিতি, প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞাপনের ধরণের উপর ভিত্তি করে। তাহলে ব্লগিং থেকে মাসিক আয় যত টাকা প্রাপ্ত করা যায়, তা নিম্নরূপ:

১. ব্লগের ট্রাফিক ও উপস্থিতি: ব্লগের প্রতিদিনের ট্রাফিক ও উপস্থিতি ব্যক্তিগত উপায়ে ব্লগিং থেকে আয়ের প্রধান উপায়ের মধ্যে প্রধান ভূমিকা পালন করে। একজন ব্লগার ব্যাকরণের মধ্যে বা বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে ট্রাফিক ও উপস্থিতি বাড়াতে পারেন। বেশি ভিউয়ার ও উপস্থিতির মাধ্যমে ব্লগার বিজ্ঞাপনে বেশি ট্রাফিক আকর্ষণ করতে পারে এবং সংস্থা বা বিজ্ঞাপনদাতারা আরও বেশি আয় প্রদান করতে প্রস্তুত হন।

২. ব্লগের বিষয় এবং নীচ: ব্লগের বিষয় ও নীচ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্লগিং থেকে আয়ের প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। কিছু বিষয় এবং নীচ আপনাকে বেশি ভিউয়ার ও উপস্থিতি আকর্ষতে সাহায্য করতে পারে, যা বিজ্ঞাপনদাতারা বা সংস্থা প্রায়শই চান। একের নামে কয়েকটি ব্লগ থেকে এটি প্রকাশ করেন।

৩. বিজ্ঞাপন প্রকাশ: ব্লগের প্রকাশের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদানকারী বা সংস্থা একটি ব্লগারের ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারে। এই বিজ্ঞাপনের ধরণ এবং আয়ের পরিমাণ বিভিন্ন হতে পারে এবং এটি ব্লগারের ট্রাফিকের ও উপস্থিতির উপর ভিত্তি করতে পারে। বিজ্ঞাপনের ধরণের উদাহরণ হতে পারে ব্যাকরণের বিজ্ঞাপন, প্রোডাক্ট রিভিউ, স্পন্সরড পোস্ট, বিজ্ঞাপন ব্যানার এবং আরও অনেক কিছু।

ব্লগিং থেকে মাসিক আয়ের পরিমাণ প্রায় ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যক্তির প্রত্যাশা, ব্লগের সামগ্রিক প্রকার, ট্রাফিক এবং উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে। কেউ এক মাসে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন করতে পারে এবং অন্যের ব্যাকরণে এই পরিমাণ অধিক থাকতে পারে। এটি ব্লগারের দক্ষতা, মেধা, পরিকল্পনা, এবং মার্কেটিং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে।

 

ব্লগিং করে টাকা কীভাবে তুলতে হয়?

ব্লগিং করে টাকা তুলতে প্রায় তিনটি প্রধান উপায় রয়েছে:

১. বিজ্ঞাপন প্রকাশ: ব্লগিং থেকে সর্বাধিক সাধারণ প্রকারে টাকা তোলার উপায় হলো বিজ্ঞাপন প্রকাশ। বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার জন্য, ব্লগার বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করতে পারেন এবং প্রকাশ করার জন্য উপলব্ধ বিজ্ঞাপন ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক ব্যক্তিগত উপস্থিতি ও ট্রাফিক ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন ব্যক্তিগত করতে পারে। ব্যাকরণ প্রকাশ এবং ট্রাফিকের মাধ্যমে ব্লগার আয় প্রাপ্ত করতে পারেন।

২. স্পন্সরড পোস্ট লেখা: কিছু সংস্থা বা বিজ্ঞাপন প্রদানকারী একজন ব্লগার থেকে স্পন্সরড পোস্ট লেখতে বা প্রকাশ করতে চান। স্পন্সরড পোস্ট লেখার মাধ্যমে ব্লগার প্রায়েই টাকা উপার্জন করে, এবং স্পন্সরকৃত পোস্ট মার্ক করা হয় যাতে পাঠকগণ বিচার করতে পারে যে এটি একটি স্পন্সরকৃত পোস্ট।

৩. এফিলিয়েট মার্কেটিং: ব্লগার অনেক সময় এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে নিবন্ধন করে, যা মাধ্যমে তাঁর ব্লগের ওপর আমদানি করা প্রোডাক্টের লিংক সরবরাহ করা হয়। যখন কেউ ওই লিংকে ক্লিক করে এবং প্রোডাক্ট কিনতে গিয়ে, তখন ব্লগার একটি কমিশন উপার্জন করতে পারে। এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি ব্যক্তিগত প্রকারে টাকা উপার্জনের উপায় হতে পারে, যা ব্লগারের প্রয়োজনে অনুসারে আপনার উপলব্ধ প্রসারণ এবং স্বাধীনতা উপর ভিত্তি করে।

এই উপায়ের বাইরে, কিছু ব্লগাররা বুক লেখার মাধ্যমে অ্যাউথর হয়ে থাকেন এবং তাঁদের বই বেচার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন। আপনি কি ধরনের টাকা তুলতে চান, তা আপনার ব্যক্তিগত পছন্দের উপর ভিত্তি করবে। কিছু ব্লগার মূলত প্রিয় বিষয়ে লেখা এবং তাদের পাঠকদের সাথে সংযোগ তৈরি করা পছন্দ করে, যখন কিছু অন্য ব্লগার প্রয়োজনে আয়ের জন্য সামগ্রিক উপায় বেশি পছন্দ করে।

 

CITNBD তে Google AdSense & Blogging কোর্সে ভর্তি চলছে।

Leave a Reply